শেরপুর জেলা শহরের রঘুনাথ বাজারের কোরাইশী কমপ্লেক্সে মোবাইল ফোনের দোকানে চুরি করে পালানোর সময় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে টহল পুলিশের অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ সময় চোরদের কাছ থেকে তিনটি ব্যাগে রাখা ৫৫টি নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। একইদিন বিকেলে সদর থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।আটককৃতরা হলো শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আক্রাম (৩৫), গৌরীপুর মহল্লার সেলিমের ছেলে বাবু (২৯), খরমপুর মহল্লার বাদশা মিয়ার ছেলে শিমুল মিয়া ওরফে শিমুল চোরা (৩০), শেরপুর সদর উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হৃদয় রহমান (২৫), লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরসামসউদ্দিন গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে রাসেল (২৩), চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার মাইকভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রিয়াজু (৩৫), কুমিল্লা জেলার মোরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে মো. হোসেন (৩২), একই উপজেলার বিল্লালপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইউনুস (৩৫), ঢাকা জেলার লালবাগ শহীদনগর এলাকার আবদুলের ছেলে রানা (৩০) ও একই জেলার লালবাগ এলাকার বাবুলের ছেলে মো. ফারুক (২৪)।
পুলিশ ও দোকান মালিক সূত্রে জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি সোমবার রাতে শহরের রঘুনাথবাজারস্থ কোরাইশী কমপ্লেক্সের মাহি টেলিকমের মালিক মো. কামারুজ্জামান মিন্টু তালুকদার তার মোবাইল দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। রাতের অন্ধকারে চোর চক্র কোরাইশী কমপ্লেক্সের প্রধান গেটের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে দোকানের শাটারের তালা ভেঙে ৫৫টি নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চুরি করে। চুরির পর তারা ফোনগুলো ব্যাগে ভরে নিয়ে পালানোর সময় শহরের টহল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইনাল হকের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে চোরদের কাছ থেকে দুটি রড কাটার মেশিনসহ তিনটি ব্যাগে ৫৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।মাহি টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. কামারুজ্জামান মিন্টু তালুকদার জানান, তার দোকানের চুরি হওয়া ফোনগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১১ লাখ টাকা।এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এটি একটি আন্তঃজেলা চোর চক্রের একটি গ্যাং। দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন জেলায় প্রথমে তারা লোকাল এজেন্ট ঠিক করে তারপর ওইখানে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন মোবাইলের ও স্বর্ণের দোকানে চুরি করে। ওই ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংঘবদ্ধ আরও কোন চক্র আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।