দৈনিক জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলামসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে শরীয়তপুরে মানববন্ধন করেছে কর্মরত সাংবাদিকরা। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন, আরটিভির আবুল হোসেন সরদার, সংগ্রামের কেএম মকবুল হোসেন, চ্যানেল আইর এসএম মজিবর রহমান, নয়া দিগন্তের বোরহান উদ্দিন রাব্বী, প্রথম আলোর সত্যজিৎ ঘোষ, বাংলা ভিশনের শহিদুজ্জামান খান, এনটিভির আব্দুল আজিজ শিশির, সময় টিভির বিএম ইস্রাফিল, আমাদের সময়ের রোমান আকন্দ, বৈশাখী টিভির আব্দুল খালেক ইমন, আজকের পত্রিকার বেলাল হোসাইন, সমকালের সোহাগ খান সুজন, কালের কন্ঠের শরিফুল আলম ইমন, যমুনা টিভি এসএম শাকিল, বাংলাদেশ সমাচারের সাইফুল ইসলাম, ডেইলী স্টারের জাহিদ হাসান রনি, নিউজ ২৪ এর বিধান মজুমদার,নাগরিক টিভির শাহাদাত হোসেন হিরু, দীপ্ত টিভির সালাউদ্দিন রুপম, বাংলাদেশ বুলেটিনের মতিউর রহমান, আরটিভির আসাদ গাজী, দৈনিক বাংলার জাহাঙ্গীর হোসেন, কালের কন্ঠের মাহবুব আলম, যুগান্তরের সাহেদ আহমেদ প্রমূখ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার জন্য দৈনিক জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে। সন্ত্রাসীরা বারবার সাংবাদিকদের ওপর হামলা করার কারণ কি? তারা চায় গণমাধ্যমকে থামিয়ে দিতে- দেশে দুর্নীতি-অনিয়ম চলবে, জবাবদিহিতা থাকবে না।তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বোঝা যায় গণমাধ্যম বর্তমান সময়ে নিরাপদ নয়। এভাবে একের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে গণমাধ্যমকে যারা থামিয়ে দিতে চায় তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা বর্তমান সময়ে বেড়েছে- এটা নিরাসন জরুরি। সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধ না হলে গণমাধ্যম হুমকির মুখে পড়বে। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ, অনলাইন সম্পাদক আতাউর হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি বশির হোসেনের ওপর শাহবাগ-বাংলামোটর এলাকায় দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।